নওগাঁর মান্দায় উপজেলায় বাল্যবিবাহ করার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচাতে সাড়ে ১৬ বছর বয়সী নিজ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে বিয়ে করার পর অস্বীকার করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। সে মামলায় র্যাব ও মান্দা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আজ (০১ মে) বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের বনপাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। আটককৃত প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীগোবিন্দপুর ফকিরপাড়া গ্রামের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফসার আলী মন্ডলের ছেলে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দোলার বাবা বাদী হয়ে গতকাল থানায় বিয়ের প্রলোভনে তার বাড়িতে রেখে ধর্ষণ করেছে বলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে সে পলাতক ছিল। আজ বৃহস্পতিবার মান্দা থানা পুলিশ ও র্যাব নাটোরের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা এমদাদুল বলেন, আমি অশিক্ষিত মানুষ। আমাদের এলাকার মুনসুর কাজীর সহযোগী আলম এসে বিয়ে রেজিস্টারি করে আমাকে যেখানে স্বাক্ষর দিতে বলে সেখানে আমি স্বাক্ষর দিই। এরপর আমি কয়েকবার তার কাছে গিয়ে বিয়ের নকল চাইলে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে আমাকে নকল দেননি। এরমধ্যে স্থানীয়দের করা অভিযোগের জন্য গতকাল আমাকে ডাকলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে আমার মেয়েকে বিয়ে দিইনি বলতে বাধ্য করে। আমার মেয়েকে যদি বিয়ে না করে তাহলে সে তাকে ধর্ষণ করেছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, মামলার পর থেকে সে পলাতক ছিল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে নাটোরের বনপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন