রপ্তানি লক্ষমাত্রা অর্জনে চাই দেশীয় পন্যের ব্র্যান্ডিং

রপ্তানি লক্ষমাত্রা অর্জনে চাই দেশীয় পন্যের ব্র্যান্ডিং

২০২১ এর রপ্তানি লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছিলো ৫০ বিলিয়ন ডলার। এই লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারলেও ভবিষ্যতের দিনে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।দেশীয় পন্যের ব্র্যন্ডিংয়ে সরকারের কেমন যেন একটা অনীহা রয়েছে।দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর আমাদের অনেক ঘাটতি থাকলেও একটা অনেক শিল্পে আমরা স্বনির্ভর। আর এই স্বনির্ভরতা কে ছড়িয়ে দিয়ে তা রপ্তানি আয়ে যোগ করতে দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। যেমন ধরা যাক আমেরিকার কথা।

তাদের উৎপাদিত পন্য সব সময় কোয়ালিটি মেইনটেইন করে। অস্ত্রের কথায় আসা যাক। তাদের উৎপাদিত নতুন কোন প্রযুক্তিগত অস্ত্র যুক্ত হলেই তা বিভিন্ন দেশের ডিফেন্স এক্সিবিশনে শো করে,তার সম্পর্কে জানান দেয়,কোয়ালিটি ও ক্ষমতা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে। এর কারন কি ? তারা চাইলে এমন স্পর্শকাতর অস্ত্র নিজেরা একাই ইউজ করতে পারতো। কিন্তু,তারা এখানেই সীমাবদ্ধ না।

এই ডিফেন্স এক্সিবিশন এ শো-অফ করার মাধ্যমেই তারা জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তার অর্ডার পেয়ে রপ্তানি আয়ে যোগ করে। তাদের রপ্তানির বিশাল এমাউন্টও আসে এই অস্ত্র রপ্তানি থেকে।নিজেদের পন্য শো-অফ আর ব্র্যান্ডিং করতে না পারলে তা বহির্বিশ্বের অগোচরেই থেকে যায়। (ডিফেন্স পেজ বিধায় ডিফেন্স রিলেটিভ উদাহরণ দিলাম) বর্তমানে দেশের ছোট বড় অনেকগুলো শিল্পের স্বনির্ভরতা বেড়েছে।কিন্তু সেগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পারফর্ম করতে পারছেনা সামান্য পৃষ্ঠপোষকতার জন্য।

এক্ষেত্রে শুধু দেশীয় কোম্পানি প্রান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। পোশাক শিল্পে আমরা স্বনির্ভর। কিন্তু,দেশীয় পোশাক ব্রান্ড গুলোর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোন পরিচিতি নেই।দেশীয় ব্রান্ডের মধ্যে (জেন্টেল পার্ক,ইয়েলো, সেইলর,টপ টেন,টুয়েলভ, ইনফিনিটি, ক্যাটস আই) এসকল ব্যন্ডের পন্যের এক্সিবিশন করা গেলে এগুলোও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পাবে। এইচ ও এম,লাকোস্ট এর মতো পরিচিতি লাভে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

প্রোডাক্ট এক্সিবিশন শুধু গার্মেন্টস পন্যের ক্ষেত্রে নয়,দেশীয় সব উৎপাদিত পন্যের সমন্বয়ে করা গেলে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। শিল্প সমৃদ্ধকরণ আর রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বাঁধা যেন কাটছেই না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password