বাবা মাকে হারিয়ে অসহায় দিন কাটছে তিন ভাই বোনের

বাবা মাকে হারিয়ে অসহায় দিন কাটছে তিন ভাই বোনের

বাবার মৃত্যুর পর মা আগলে রেখেছিল তিনকন্যাকে। লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার স্বপ্ন ছিল মা রূপা আক্তারের। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তিন বোন এখন মা বাবা হারিয়ে বড্ড অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবারে তাদের এখন আপন আর কেউ নেই। আত্মীয় স্বজনেরাও গরীব। এ অবস্থায় ওই দুই সন্তানের ভরণপোষণ কে দেবে। কে দেবে তাদের লেখাপড়ার খরচ, তা নিয়ে ভেবে আকুল হচ্ছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

কুতুবদিয়া উপজেলা লেমশীখালী গ্রামে তিনবছর আগে মারা যান লবনচাষী মো. ইসমাইল এবং সপ্তাহখানেক আগে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন স্ত্রী রূপা আক্তার।তিন শিশু হল মাইমুনা আক্তার (১০), তানিয়া সোলতানা (৭) ও বাপ্পী (৫)। মা-বাবাকে হারিয়ে ওই তিন শিশু এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের কান্না যেন আর থামছে না। অবুঝ এই শিশুদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও নেই স্বজন প্রতিবেশীদের। এই শিশুরা এখন কীভাবে কোথায় থাকবে, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে এ নিয়ে এখন তাদের স্বজন প্রতিবেশীরা চিন্তিত। শিশু তিনটির কান্নায় চোখ ভিজে উঠছে তাঁদেরও। ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ।

প্রতিবেশীরা জানান, লবনচাষী মো. ইসমাইল ও রূপা আক্তার খুব দরিদ্র। দিনমজুরের কাজ করতেন। আত্মীয়স্বজন যারা আছেন তারাও দরিদ্র। লবনচাষী মো. ইসমাইল ও রূপা আক্তার মারা যাওয়ায় তাদের তিন সন্তানের ভরণপোষণ ও দেখাশোনা করার মতো অবস্থা কারও নেই। এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, এতিম তিন শিশু কন্যাদের ব্যাপারে আগে কেউ অবগত করেনি । আগামীতে নতুন কোন সুযোগ হলেই অবশ্য তাদেরকে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password