কমেছে মুরগির দাম নাগালের বাইরে সবজি

কমেছে মুরগির দাম নাগালের বাইরে সবজি

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারিঘোষিত লকডাউনের চতুর্থ দিন চলছে। আমদানি করতে না পারায় সবজির দাম বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। তবে লকডাউন ঘোষণার পর সোনালী ও কক মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর মেছুয়া বাজারে ঘুরে দেখা যায়, লকডাউনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হুমড়ি খেয়ে বাজার করতে এসেছে মানুষ। বেশিরভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।

মেছুয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কাঁচামালের আমদানি না থাকায় দাম বেড়েছে। তবে, আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে।’তিনি জানান, ঢ্যাঁড়সের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, লতা ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, লেবু ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, লতা ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, করলার দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। এছাড়া সাজনা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা নারায়ন তালুকদার বলেন, ‘কাঁচাবাজারে যেভাবে দাম বাড়ছে। তাতে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের চলা খুব কষ্টকর। আমরাও তো দেশের মানুষ, আমাদের প্রতি সরকারের একটু দয়া করা উচিত।’মেছুয়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোনালী ও কক মুরগির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৪০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা থেকে ৮২০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা, হাসের ডিম ৪০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির ডিম ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মেছুয়া বাজারের হেজবুল্লাহ রোডের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সাগর মিয়া বলেন, ‘ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি নাজির শাইল ৬২ টাকা, আটাশ ৬০ টাকা, ঊনত্রিশ ৫২-৫৪ টাকা, ঊনপঞ্চাশ ৫০-৫১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া বলেন, ‘পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল কেজি প্রতি ১২৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, হাইব্রিড মসুর ডাল ৭০ টাকা, খেসারির ডাল ৯০ টাকা, মটরশুঁটি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি প্যাকেট প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, ছোলা বুট ৭০ টাকায়, মুগডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হেচ্ছ।’

মেছুয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, ‘মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, মিরর কার্প ও রুই ৩০০ টাকা, কারফু (মাঝারি) ২০০ টাকা, বড় কারফু ২৫০-২৬০ টাকা, ছোট সিলভার কার্প ১৫০ টাকা, কাতল (বড়) ২৮০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতি কেজি বড় ইলিশ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

মেছুয়া বাজারের মেসার্স বাপ্পী এন্টারপ্রাইজের মালিক বাপ্পী বলেন, ‘খোলা সয়াবিন তেল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা লিটার। এছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’বাজার করতে আসা নুর মোহাম্মদ নামে একজন বলেন, ‘৮০ টাকার তেল এখন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাধারণ মানুষের তো কথা বলার সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে আজ বাজারের এই অবস্থা।’ওই বাজারে খোলা মুড়ি ৭০ টাকা ও প্যাকেট মুড়ি ৮০ টাকায় কেজি। খেজুরের দাম প্রতি প্রতি কেজি ২২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password