প্রায় দেড় বছর পর শারমীন আক্তারের লাশ আসল দেশে

প্রায় দেড় বছর পর শারমীন আক্তারের লাশ আসল দেশে

দীর্ঘ এক বছর চার মাস পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবশেষে এসে পৌছালো মেয়ে শারমীন আক্তারের লাশ। মেয়ের লাশের খবর পেয়ে দিনাজপুর থেকে রোববার দুপুরে রওনা হন বাবা শামসুল ইসলাম। এমন মুহুর্তে মুঠোফোনে তিনি বললেন, ‘গত ঈদে মেয়ের (লাশ) দেশে আসার কথা থাকলেও আসছে এখন। আগে মেয়ের কাছে যাই, তারপর কথা বলব’।

জীবন-জীবিকার তাগিদে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন শারমীন আক্তার। সৌদি আরব থেকে পাঠানো মৃত্যুসনদ অনুযায়ী, শারমীনের মৃত্যুর কারণের ঘরে ‘আত্মহত্যা’ লেখা। তিনি মারা গেছেন গত বছরের এপ্রিল মাসে। ১৪ মাস পর লাশ দেশে এসেছে শনিবার রাতে।

বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফখরুল আলম জানান, ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, মাসে গড়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ নারী-পুরুষ কর্মীর লাশ দেশে ফিরছে’।

পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘শারমীন সৌদি আরবে যান দুই বছর আগে। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আট বছর বয়সী সন্তান আছে। সে থাকে শারমীনের মায়ের কাছে। শারমীনের বাবা ও ভাই টুকটাক ব্যবসাসহ কৃষিকাজ করেন”।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৫০০ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যুসনদেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে ‘আত্মহত্যা’।

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, “অনেক নারীর লাশ দেশে ফিরছে শুধু আত্মহত্যা লেখা একটি মৃত্যুসনদ নিয়ে। এই নারীরা কেন আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে কখনো কোনো তদন্ত হয়েছে, তার নজির নেই। মৃত্যুসনদে আত্মহত্যা লেখা থাকলেও এই নারীদের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন’।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password