প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট সত্যিই কি মোসাদ এজেন্ট ছিলেন

প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট সত্যিই কি মোসাদ এজেন্ট ছিলেন

ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার পেছনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এজেন্ট এলি কপ্টারের হাত রয়েছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী সেই হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন ইসরাইলের দুর্ধর্ষ গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের এজেন্ট। এরমধ্যেই নতুন করে ঘি ঢেলেছে ফ্রান্সের একটি গোষ্ঠী।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজার নামাজ হয়ে গেছে। চলছে দাফনের প্রক্রিয়া। রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর পর সব আনুষ্ঠানিকতাই চলছে ঘড়ি মেনে। চলছে মাতম। তবে থেমে নেই রাইসির মৃত্যুকে ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন। তেহরান এরইমধ্যে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনার নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও, এটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসাবে মানতে পারছেন না বেশিরভাগ মানুষ।

রাইসিকে বহনকারী কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু নিয়ে প্রতিদিনই জল্পনা-কল্পনার ডালাপালা মেলছে। দুর্ঘটনার পরপরই ইসরাইলি মিডিয়ায় মৃত্যুর খবর, আমেরিকার পক্ষে সাফাই, ইরানের ভেতরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, বহরে থাকা অন্য দুই হেলিকপ্টারের নিরাপদে ফেরত আসাসহ বিভিন্ন ঘটনা জন্ম দিচ্ছে নানামুখী প্রশ্ন আর বিতর্কের।

এরমধ্যেই নতুন করে ঘি ঢেলেছে ফ্রান্সের একটি গোষ্ঠী। ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেলের একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে উঠে আসা বক্তব্য একটি তুমুল ভাইরাল। বলা হয়েছে সর্ষের মধ্যেই নাকি ভূত ছিলো। ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী সেই হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন ইসরাইলের দুর্ধর্ষ গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের এজেন্ট। এই তত্ত্ব ঘিরে এখন সর্বত্র শোরগোল।

হামাসও এই দাবিতে সিলমোহর ফেলেছে। একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই বিষয়টি শেয়ার করা হচ্ছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার পেছনে কি মোসাদ এজেন্টের হাত, এই নিয়ে এক বিতর্কের আয়োজন করে ফরাসি-ইসরাইলি টিভি চ্যানেল আই-২৪। সেখানেই উঠে আসে মোসাদের এক এজেন্টের নাম। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলপন্থী একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই মোসাদ এজেন্টের নাম করে মিম ছড়াতে শুরু করে।

জানা গেছে, এই টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলো হামাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভাইরাল হওয়া সেই টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল হাইককে ফরাসি ভাষায় বলতে শোনা যায়, মোসাদের এক এজেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট ছিল। এ সম্পর্কে তার কাছে সঠিক তথ্য নেই জানিয়ে তিনি দাবি করেন, এই খবরটি এরইমধ্যে রটে গিয়েছে।

দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই মোসাদের এই এজেন্টের নামে একাধিক তথ্য প্রথমে হোয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়ায়, সেখান থেকে টেলিগ্রামে। যদিও প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুকে ইরান হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেনি, কোনও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দাঁড়া করায়নি, তারপরও একের পর এক প্রশ্ন উঠছে। কারও মতে, নেপথ্যে রয়েছে মোসাদ, ইরানের ভেতরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, উল্কাপাতে হেলিকপ্টার বেসামাল ইত্যাদি সব তত্ত্ব। তবে বেশিরভাগের আঙুল ইসরাইলের দিকেই। রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে আখ্যা দিতে রাজি নয় বেশিরভাগই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password