হুহু করে বাড়ছে ডিমের দাম

হুহু করে বাড়ছে ডিমের দাম
MostPlay

কী এমন ঘটল, তিন-চার দিনেই ডিমের দাম ডজনে ১৫-২০ টাকা বেড়ে গেল? হঠাৎ ডিমের দামের এমন অস্থিরতায় অনেকেই বিরক্ত। একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে হয়রান। খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৫০ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এদিন ঢাকায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। আগের সপ্তাহের চেয়ে যা ১০ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে ডজনপ্রতি ডিমের দাম ছিল ১৪৫ টাকা।

অর্থাৎ বছর ব্যবধানে দর বেড়েছে ২৫ টাকা। ২০২২ সালের আগস্টে একটি ডিম ১২-১৩ টাকায় কেনেন ক্রেতাসাধারণ। সেটিই এখন কিনতে হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়। স্বাভাবিকভাবেই পেটে হাত পড়েছে গরিব মানুষের। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছেন তারা। চাল,চিনি,আটা-সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হা-হুতাশ বাড়ছে।

রাজধানীর নর্দ্দায় বাজার করতে আসা কালাম খান  বলেন, এখন সব পণ্যের দাম বাড়তি। ভ্যান চালিয়ে যে টাকা আয় করি, তা দিয়ে ভালো কোনো খাবার জোগাড় করতে পারি না। ডিম দিয়ে বেশিরভাগ সময় ভাত খাই। সেটার দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।

তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, সম্প্রতি তীব্র গরমে দেশের বিভিন্ন খামারে অনেক মুরগি মারা গেছে। বেঁচে থাকা মুরগিগুলো অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ঠিকমতো খাবার খেতে পারেনি। ফলে ডিমের উৎপাদন কমেছে।

তিনি বলেন, তেজগাঁও বাজারে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ লাখ পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৪ থেকে ১৫ লাখ পিস পাওয়া যাচ্ছে। প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে দেশের নানা এলাকা থেকে ডিম সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। দর বৃদ্ধির এটিও অন্যতম কারণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার দাবি করেন, এ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কিছু ব্যবসায়ী বাজারে ডিমের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। পর্যাপ্ত থাকলেও সরবরাহ কম করছেন তারা। তাই দাম বাড়ছে। বাংলাদেশ ডিম উৎপাদক সমিতির তথ্যমতে, দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি ডিমের দরকার। যার একটি বড় অংশ সারাদেশের খামার থেকে আসে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি পিস ডিম উৎপাদিত হয়েছিল। আগের অর্থবছরে যা ছিল ২ হাজার ৩৩৫ কোটি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password