দৌলতপুরের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দৌলতপুরের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ রিপন আলী,কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ- কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ও ফিলিপনগর ইউনিয়ন আ'লীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফিলিপনগর ইউনিয়ন আ'লীগ।

রবিবার বিকালে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন আ'লীগ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, উপজেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আতিয়ার রহমান আতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা আ'লীগের সদস্য মাহবুবুর রহমান মাস্টার,

সদস্য সরকার মাহবুবুর মনি সহ ইউনিয়নের আ'লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে ফিলিপনগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ফজলুল হক কবিরাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী নইমুদ্দিন সেন্টুর কাছে পরাজিত হয়ে স্হানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড.আঃকাঃকাঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহর বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট ও টাকার বিনিময় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে আ'লীগ সমর্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক কবিরাজ ।যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সংসদ সদস্যের দিকনির্দেশনায় আমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ নৌকার পক্ষে কাজ করেছি তবে ফজলুল হক বর্তমান চেয়ারম্যান থাকায় তার নামে সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা,মানুষের প্রতি অবজ্ঞা ও বংশের মধ্যে অনৈক্য থাকা তার পরাজয়ের একমাত্র কারণ। বিশেষ করে ফজলুল হকের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ওরুশ কবিরাজের স্বতন্ত্র নির্বাচন ফজলুল হকের পরাজয়কে তরান্বিত করেছে।

ফজলুল হক কবিরাজ যদি তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ওরুশ কবিরাজকে নির্বাচন থেকে বিরত রেখে নিজ বংশকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে নামতে পারতেন তাহলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হতো। ওরুশ কবিরাজ ও ফজলুল হক কবিরাজের ভোট যোগ করলেই বুঝতে পারবেন নৌকা কেন হেরেছে। ফিলিপনগর ইউনিয়নে শুধুমাত্র এমপি মহোদয়ের বাড়ি নয়, উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.শরিফ উদ্দিন রিমন,

জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল আসকার হাসু সহ উপজেলা আ'লীগের এক ডজনেরও বেশি নেতা ফিলিপনগরে বসবাস করেন। শুধু ফিলিপনগর নয় দৌলতপুরের দশটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে,একটিতে বিএনপি ছাড়া বাকি নয়টিতে আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে এবং সারা বাংলাদেশে একই ধরনের চিত্র দেখা যাচ্ছে।

সুতরাং শুধুমাত্র এমপি মহোদয়ের উপর পরাজয়ের দায় দেওয়ার অপচেষ্টা ফিলিপনগর ইউনিয়ন আ'লীগ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে। সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আ'লীগের নেতারা আরো উল্লেখ করেন- ফিলিপনগর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টু ২০০১ সাল হতে বিএনপি'র অন্যায় অত্যাচার ,তান্ডব এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিএনপি ত্যাগ করে প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের হাত ধরে আ'লীগে যোগদান করেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে উপজেলা আ'লীগ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ও শরীফ উদ্দিন রিমন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করেন। নইমুদ্দিন সেন্টু যদি বিএনপি নেতা হতেন তাহলে ২০০৩ সালের ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের ছাতা মার্কাকে পরাজিত করে হাঁস মার্কা নিয়ে জয়লাভ করতে না। মাননীয় সংসদ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করেন এবং তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিজ্ঞ আইনজীবী।

একটি শিক্ষিত,সম্ভান্ত, নিরহংকার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতিতে বেড়ে ওঠা। মুক্তিযুদ্ধে এই পরিবারের ব্যাপক অবদান রয়েছে ।সেদিন অনেকেই বঙ্গবন্ধু তথা আ'লীগের পক্ষে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি বরং বিএনপি করেছে।

এখন একটি বিশেষ মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফজলুল হককে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে দৌলতপুর উপজেলা আ'লীগকে বিভক্ত করে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করতে চায়।যা দৌলতপুরের আ'লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কখনো মেনে নেবে না। এবং এই ষড়যন্ত্র তারা প্রতিহত করবে। সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্যর নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে ফজলুল হক কবিরাজকে নতুবা মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে তাকে, জানান স্হানীয় আ'লীগ নেতারা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password