মিলাররা কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে

মিলাররা কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে

মিলার ও আড়তদাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থার মধ্যে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় থেকে গোপালগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে একটি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন মন্ত্রী।কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের মিলার, আড়তদার ও জোতদাররা যারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করেন, তারা চালের দাম বাড়ায় এবং এবারও তারা সেই কাজ করতেছে। মৌসুমের সময় তারা এখনও ধান কিনতেছে এবং ধান ও চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছে ভারত থেকে এবং অন্যান্য দেশ থেকে চাল আনার। ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাবে। প্রাইভেট সেক্টরকেও সেই সুযোগ দেওয়া হবে। প্রাইভেট সেক্টর এবং সরকার ৫/৬ লাখ টন চাল আনতে পারবে। এর বেশি হলে আমরা আর অনুমতি দেবো না। যখনই ৬ লাখ টনের এলসি দেওয়া হবে তারপর আর এলসির সুযোগ দেওয়া হবে না।

সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এতোটা চালের ঘাটতি আমাদের নেই। কিন্তু এ সুযোগে মিলাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে, যেটুকু ঘাটতি রয়েছে তা মেটাতে সরকারের পূর্ণ উদ্যোগ ও প্রস্তুতি রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বস করি মানুষের খাদ্য নিয়ে কোনো কষ্ট হবে না। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা দেবো। আমরা বলতে চাই, সরকার সব সময় চোখ বন্ধ করে থাকে না। যেহেতু চালের দাম একটু অস্বাভাবিক বেশি হয়েছে এজন্য বিশেষ বিবেচনায় প্রাইভেট সেক্টরকে চাল আমদারি সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারও চাল আমদানি করে ঘাটতি মেটাবে। যাতে একটি মানুষও কষ্ট না পায়। কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে, সেই নিশ্চয়তা আমি দিতে চাই।

তিনি জানান, ঘাটতি মেটাতে সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি গুদামে চাল কমে গেছে। গত বছর প্রায় ১৩ লাখ টনের মতো খাদ্য ছিল। এ বছর সেটা কমে ৭ লাখ টনে নেমে এসেছে।

অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password