ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক আহত

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক আহত

পূর্ব জেরুজালেমে কট্টরপন্থী ইহুদি বিক্ষোভকারী, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।পুলিশ ফিলিস্তিনি ও কট্টর জাতীয়তাবাদী ইহুদি বিক্ষোভকারীদের আলাদা রাখার চেষ্টা করার সময় সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকাটিতে জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এ ঘটনা ঘটলো।বেশ কিছু ফিলিস্তিনি জেরুজালেমের পুরনো শহরের প্রবেশপথে দামেস্ক দরজার কাছে জড়ো হয়েছিলেন। তখন কট্টর জাতীয়তাবাদী ইহুদিদের দল লেহাভার সমর্থকরা ওই দরজার দিকে ‘আরবদের মৃত্যু’ স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যায়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।দুই পক্ষ থেকে পরষ্পরের দিকে পাথর ও বোতল ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ স্টান গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, অন্তত একশ জন ফিলিস্তিনি এতে আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে তাদের ২০ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।গত ১৩ এপ্রিল মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান শুরু হওয়ার পর থেকেই পূর্ব জেরুজালেমে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ করা ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করেন, রোজা সম্পন্ন করতে বাঁধা সৃষ্টি করার জন্য দামেস্ক দরজার বাইরে জড়ো হতে পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করেছে।পুলিশ বলছে, জেরুজালেমের পুরনো শহরে পথচারীদের চলাচলে সুবিধা তৈরি করতে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

আবার ইহুদিরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন কিছু টিকটক ভিডিওর কারণে। এসব ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনিরা কট্টরপন্থী ইহুদি সদস্যদের অপমান করছে। ভিডিওতে জেরুজালেমের হালকা রেলপথের ওপর দুটি কিশোরের ওপর হামলা চালাতেও দেখা যায়।দামেস্ক দরজার দিকে এগিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এই ভিডিওগুলোকে দায়ী করেন লেহাভার সমর্থকরা। এই পদক্ষেপকে ‘জাতীয় সম্মান’ প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।

এ সপ্তাহে ইহুদিদের দ্বারা আরবদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে, আরব বিরোধী স্লোগান দেয়া তরুণ ইহুদিদের সমর্থন না দিয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ করায় এক আরব ড্রাইভারের ওপর হামলা চালানো হয়।১৯৬৭ সালের তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। ইসরায়েল এ জায়গাটিকে তাদের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে, যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশের কাছ থেকে তা স্বীকৃতি পায়নি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password