উন্নত জীবনের আশা কফিন বন্দি করে ফেরালো ৮ বাংলাদেশিকে

উন্নত জীবনের আশা কফিন বন্দি করে ফেরালো ৮ বাংলাদেশিকে

অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী আট বাংলাদেশির মরদেহ সুরতহালের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এরপরই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে পরিবারের কাছে। এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তাদের ম/রদেহ।

এ ঘটনায় গেল ১৯ এপ্রিল রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় দু'জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে পৌঁছাবে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।

নিহতের মধ্যে- সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী ছিলেন। তাদের মরদেহের কফিন সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আজ দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা।

জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ৫২ জন যাত্রী এবং এক চালকসহ নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে ডুবে যায়। সেদিন জীবিত উদ্ধার করা হয় ৪৪ জনকে। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি, পাকিস্তানের ৮, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক।

এর আগে, গত মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এর পরপরই ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password