মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ২ হাজার জন্ম নিবন্ধন বিতরণ

মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ২ হাজার জন্ম নিবন্ধন বিতরণ

মহেশখালী উপজেলার ৩নং কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে ২০০০ (দুই হাজার) নতুন জন্ম নিবন্ধন বিতরণ করা হয়। চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের উপস্থিতিতে নিজ তত্ত্বাবধানে জন্ম নিবন্ধনগুলো বিতরণ হয়।

৬ই ফেব্রুয়ারী (রোববার) সকাল ১০টা থেকে ইউপি কার্যালয়ের সামনে সারি সারি নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন ধরে। সবার হাতে টোকেন।কর্মচারীরা একের পর এক টোকেন যাছাই করে মানুষকে তুলে দিচ্ছেন নতুন জন্ম নিবন্ধন। মাঝে মধ্যে সেবা নিতে আসা মানুষের নাম ঘোষণা হয় মাইকেও। দীর্ঘ ভোগান্তি শেষে নতুন জন্ম নিবন্ধন পেয়ে উচ্ছ্বাসিত। চেয়ারম্যানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ব্যতিক্রম সেবাটি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন ছয়জন কর্মচারী। কথা হলে চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, ৭ লক্ষ টাকা খরচে প্রতিজনের নিবন্ধন ফি নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করছেন।

জন্মনিবন্ধন নিতে আসা নোনাছড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ মনছুর আলম বলেন, পরিবারের সাত সদস্যের জন্য এক মাস পূর্বে নতুন নিবন্ধনের আবেদন করে আজ পেয়েছি। অনেক ভালো লাগছে। কালাররমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী আলিফা জান্নাত বলেন, মাদ্রাসা জমা দেয়ার জন্য চার মাস আগে আবেদন করেছিলাম। সার্ভার জটিলতার কারণে অনেকবার যোগাযোগ করেও পাইনি। আজ পেয়ে অনেক খুশি লাগছে।

ইউনুছ খালীর বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, দুই সন্তানের জন্মনিবন্ধন করতে দু’মাস আগে আবেদন করি। সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করিয়েছি, তবে নিবন্ধন দিতে পারিনি। আজ জমা দিব। গত এক বছর ধরে ঘুরেছি, আজকে পেয়ে অনেক আনন্দিত। অফিস পাড়ায় গ্রামের বাসিন্দা জায়তুন নাহার নামের এক নারী বলেন, দুই সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে আবেদন করেছিলাম। আমার এক সন্তান ৯ম শ্রেণিতে পড়ে। তার রেজিষ্ট্রেশন করতে জন্মবনিবন্ধনের অনলাইন কপি দরকার হয়েছে।

গত চার মাসে অন্তত ১০ বার এসেছি। আজকে পেয়ে অনেক খুশি লাগছে। ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ১৯০০ নারী-পুরুষের মাঝে জন্মনিবন্ধব বিতরণ করা হয়। সোমবার ২ হাজার জনকে বিতরণ হয়েছে। আরো প্রায় ১০ হাজার আবেদন জমা আছে। পর্যায়ক্রমে এসব বিতরণ করা হবে। চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ১৬টি সেবা দেওয়া হয় জনগণদের।

তার মধ্যে জন্ম নিবন্ধন অন্যতম। সার্ভার জটিলতার কারণে মানুষ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এসব বিবেচনা করে গত ১৫ দিন ধরে ছয়জন কর্মচারী রাতদিন পরিশ্রম করে এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ ২০০০(দুই হাজার) জন্ম নিবন্ধনের পিছনে যারা নিরলস শ্রম দিয়েছেন তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন, কালারমারছড়া বৃহৎ ইউনিয়ন। প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বাস করে। নাগরিক সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন নিবন্ধন ও সংশোধনের ক্ষেত্রে জনগণ ইউনিয়ন ও উপজেলায় আসতে বলি। এ ক্ষেত্রে কালারমারছড়া সেবাটি ব্যতিক্রম। সংশ্লিষ্টরা সাদুবাদ পাওয়ার যোগ্য। পাশাপাশি অন্যান্য ইউনিয়নেও এ ধরনের সেবা বাড়াতে সকলকে আহবান জানাচ্ছি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password