যে প্রাণী পোলাওয়ের চালের ঘ্রাণ ছড়ায়

যে প্রাণী পোলাওয়ের চালের ঘ্রাণ ছড়ায়
MostPlay

বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল প্রাণীটির শরীর থেকে পোলাওয়ের চালের সুগন্ধি ছড়ায়। মুখোশধারী গন্ধগোকুল একটি মাঝারি আকারের প্রজাতি। এদের মুখে মুখোশ ছাড়া পার্থক্য করার মতো কোনো বৈশিষ্ট্য থাকে না এবং এজন্য এদের এরকম নামকরণ করা হয়েছে। এদের লেজে বলয় নেই এবং অন্যান্য গন্ধগোকুলের মতো পুরো দেহে কোনো তিলা বা ডোরা থাকে না। এই প্রজাতির গন্ধগোকুলের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৭৬ সেমি, লেজ ৬৪ সেমি।

এদের ওজনে তারতম্য থাকে এবং ওজন প্রায় ৩.৬-৬ কেজি হয়ে থাকে। সিভেট, এশীয় তাল খাটাশ, ভোন্দর, লেনজা কিংবা গাছ খাটাশ, একাধিক নামে পরিচিত প্রাণী গন্ধগোকুল। ভারত, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, চীনের দক্ষিণ অঞ্চলসহ বাংলাদেশের সিলেটে বনাঞ্চলেও দেখা মিলে বর্তমান সময়ের অরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত প্রাণীটির।

পোলাওয়ের চালের মতো সুবাস ছড়ায় বিধায় এর অধিক পরিচিত নাম গন্ধগোকুল। বাদামি বা ধূসর বর্ণের প্রাণীটির শরীর বিড়ালের মতো হলেও লেজ লম্বা ও মুখ দেখতে বেজির মতো। শরীরজুড়ে বিভিন্ন রঙের সারি ও কালো ছোপ ছোপ দাগ। বিশ্বে ৬৬টি প্রজাতির গন্ধগোকুলের সন্ধান পাওয়া গেছে। মাংসাশী প্রাণী গন্ধগোকুল সাধারণত রাতের বেলা ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি, ছোট সাপ, ব্যাঙ শিকার করে থাকে। তবে এদের পছন্দের তালিকায় আছে তালের রস।

গন্ধগোকুল দ্বারা মূল্যবান বিভিন্ন সুগন্ধী ও কফি তৈরি করা হয়। এদের গ্রন্থি থেকে পিচ্ছিল কস্তুরিমৃগ নিঃসৃত পদার্থ থেকে একধরনের তেল পাওয়া যায় যা থেকে মূল্যবান সুগন্ধি তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি তৈরি হয় গন্ধগোকুলের মল থেকে। ইংল্যান্ডে প্রতি কাপ কফির মূল্য ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৮৬২ টাকা।

বিভিন্ন দেশে আবার চুলকানির চিকিৎসায় গন্ধগোকুলের তেল ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে চিকিৎসায় কোনো উপকার না পাওয়ায় এর তেল ব্যবহার বন্ধ হয়। বন্য পরিবেশ নষ্ট হওয়ার ফলে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে গন্ধগোকুলের সংখ্যা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password