সেবার মানে এগিয়ে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সেবার মানে এগিয়ে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সেবার মানে এগিয়ে কুমিল্লার ‘মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় পাল্টে যাচ্ছে হাসপাতালের ভেতর ও বাহিরের চিত্র। সহজেই পাওয়া যাচ্ছে হাসপাতালে এক সময়ের দেখা না মেলা এ্যাম্বুলেন্সের। শুরু হয়েছে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান অপারেশন। আগের তুলনায় বর্তমানে ভালো সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট রোগী ও স্বজনরা। প্রশংসায় ভাসছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কর্মকর্তাগন। ফলে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে রোগিদের চাপ।

এদিকে উপজেলার উত্তর পাশে গুদারা দিয়ে নদী পাড় হলেই নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন ১৪টি গ্রাম নিয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন অবস্থিত। যা কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার পাশাপাশি। ওই ইউনিয়নে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। আর ওই এলাকার মানুষজনসহ উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

 জনবল সংকট আর নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই হাসপাতালটি। যে কারণে আগের তুলনায় বর্তমানে রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে চালু করা হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। করা হয়েছে নতুন কিছু নির্মাণ কাজ। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ডাস্টবিন। হাসপাতালের চতুর্পাশে লাগানো হয়েছে ফুল গাছ ও সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের বাগান। অন্যদিকে ডেন্টাল ইউনিটের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনাসহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা রহমান ২০২৩ সালের ১৭ই জানুয়ারী এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাল্টেছে এই চিত্র। খুশিতে আত্মহারা এলাকাবাসী।

অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা রহমান এর তত্তাবধানে গাইনী কনসালটেন্ট ডা. মাতুয়ারা শারমীন এর অপারেশন পরিচালনায় শুরু থেকে চলতি মাসের ২ এপ্রিল পর্যন্ত সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন করে পাঁচ শত নবজাতককে উপহারসহ অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ডলি আক্তার ও মিডওয়াইফদের সহযোগীতায় একই সময়ের মধ্যে এক হাজার দুইশত আটাত্তরটা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতক প্রসব করিয়ে মেঘনাবাসিকে অভিনন্দন জানান। 

এ টিমের সাথে ছিলেন এনেস্থেসিয়া কনসালটেন্ট ডা. সালাহউদ্দিন মোল্লাসহ সহযোগিতায় ছিলেন- ডা.ফয়সাল লতিফ, ডা. মাহমুদা বেগম সাথী, মিডওয়াইফ নাজনীন ও সুমি, এমএলএসএস জাকির ও নাহার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password