ভিটামিন-ডি এর প্রয়োজনীয়তা

ভিটামিন-ডি এর প্রয়োজনীয়তা

সুষম খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভিটামিন। আর ভিটামিন এর কথা আসলে অবশ্যই চলে আসে অতি প্রয়োজনীয় - 'ভিটামিন ডি ' এর কথা। ভিটামিন 'ডি' কেন প্রয়োজন তাই নিয়ে স্বল্পবিস্তর আলোচনা আজকে।

ভিটামিন-ডি মূলত আমরা পেয়ে থাকি সূর্যের আলো থেকে। প্রায় সিংহভাগ ভিটামিন-ডি আসে প্রাকৃতিক সূর্যালোক থেকে। সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয় এবং মানুষের ত্বকের এপিডার্মিসের নিচের স্তরে কোলিক্যালসিফেরলের সংশ্লেষণের মাধ্যমে ভিটামিন-ডি তৈরি হয়। তাছাড়াও কিছু খাবারে আমরা পেতে পারি ভিটামিন-ডি। যেমন - ডিমের কুসুম, দই, ওটমিল, দুধ ইত্যাদি। 

এবার চলে আসি ভিটামিন-ডি এর গুণাবলী সম্পর্কে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসার কথা কেন এত দরকারী এই ভিটামিন-ডি বা কাদেরই বা বেশি প্রয়োজন।

☑️ ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে এটি ভূমিকা রাখে আমাদের হাড়ের গঠন ও স্থায়ীত্বে।

☑️ ভিটামিন -ডি পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে। এটির কারণে শারীরিক ক্ষমতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। 

☑️ ভিটামিন-ডি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। খেয়াল করলে দেখা যায় মানসিক অবসাদগ্রস্ত অনেক রোগীকেই ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়ে থাকে। 

☑️ ভিটামিন-ডি বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

☑️ দাঁতকে মজবুত করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এই ভিটামিন-ডি এর। 

  এবার আসি ভিটামিন-ডি এর মত এত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের অভাবে আমাদের কি কি রোগ বা সমস্যা হতে পারে - 

⭕ হাড়ক্ষয়, হাড়ে ব্যথা

⭕ বাচ্চাদের ভিটামিন-ডি এর অভাবে 'রিকেটস' রোগ হয়ে থাকে। 

⭕ বড়দের ক্ষেত্রে ভিটামিন-ডি এর অভাবে 'অস্টিওম্যালেশিয়া' হয়ে থাকে। 

⭕বিষণ্নতা 

⭕অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়া 

⭕মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব ইত্যাদি। 

এসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি গ্রহণ প্রয়োজন আমাদের সকলেরই। যেহেতু এটি সূর্যালোক থেকে পাওয়া যায় তাই শিশুদের সকালবেলায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রোদে রাখতে হবে। শুধু শিশুদেরই নয়, সকলেরই উচিত দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোয় কাটানো। সকাল ৬-৮ টা অথবা বিকাল ৪-৫ টা অন্যতম আদর্শ সময়। তাছাড়া ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার যথা - ডিমের কুসুম, দুধ, ওটমিল এসব পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন খেতে হবে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password