হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে, অতঃপর...

হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে, অতঃপর...

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বরোচিস হাওলাদার শিবু নামের এক স্কুলশিক্ষক স্ত্রী-সন্তান রেখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে নাম রাখেন সিয়াম হাওলাদার। পরে তিনি সুমি আক্তার নামে অনার্স পড়ুয়া কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেন। কিছু দিন সংসার করার পর পুনরায় আগের ধর্মে ফিরে গেলে সুমি আক্তার বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। স্বরোচিস হাওলাদার শিবু উপজেলার দক্ষিণ কবুতরখালী গ্রামের সাবেক পল্লী চিকিৎসক স্বপন কুমার হাওলাদার ছেলে ও ১০১নং মাথাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রীকে স্বরোচিস প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে।

ধর্মের বিষয়টি সুমি জানতে পারলে স্ত্রী-সন্তান রেখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে এফিডেভিটের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে স্বরোচিস নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখেন সিয়াম হাওলাদার। পরে খুলনায় গিয়ে জনৈক কাজীর মাধ্যমে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করায় সুমি আক্তার গর্ভবতী হন। সিয়াম চাপ সৃষ্টি করে তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন।

গত ৩ জানুয়ারি সিয়াম হাওলাদার (স্বরোচিস) সুমিকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সন্তানের জনক স্বরোচিস একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। তিনি ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীসহ চার নারীকে বিয়ে করেন।

এর মধ্যে দুই স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বরোচিসকে একাধিকবার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপকুমার পাল বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ সময় চেয়ে আবেদন করায় শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password