পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী পেটের অতিরিক্ত চর্বি

পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী পেটের অতিরিক্ত চর্বি
MostPlay

প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের সমস্যার কারণে সন্তান হয় না। আমরা অনেকেই মনে করি বন্ধ্যত্ব শুধু নারীদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। আর আমাদের সমাজে বন্ধ্যত্বের দায় নারীর ওপর চাপানো হয়।

মেয়েরাই প্রধানত বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী এই ভাবনাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে পুরুষদের মধ্যে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে, দাবি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসকদের। মেয়েদের তুলনায় ১.৫% বেশি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা যাচ্ছে পুরুষদের মধ্যে।

কোনো দম্পতি যদি কোনো ধরনের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া পূর্ণ এক বছর একসঙ্গে বসবাসের পরও সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন, তবে একে বন্ধ্যাত্ব (ইনফার্টিলিটি) সমস্যা বলা হয়ে থাকে। বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, অর্থাৎ যাঁদের কখনো সন্তান হয়নি ও সেকেন্ডারি, অর্থাৎ যাঁদের আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না।

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুধু নারী নয় পুরুষও সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হতে পারে। বিজ্ঞানীরা পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য পেটের অতিরিক্ত চর্বিকে দায়ী করেছেন। খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া এবং আধুনিক জীবনযাপনের কারণে দিন দিন পেটে জমা মেদই সন্তান জন্মদানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে গবেষকদের দাবি।

কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা একদল পুরুষের ওপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছে। এই পরীক্ষায় ওবেসিটিতে আক্রান্ত ১৫ জন পুরুষের স্পার্ম নিয়ে পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। গবেষণায় তারা দেখতে পান- ওবেসিটিতে আক্রান্ত পুরুষদের শুক্রাণুর জিনে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বেশ দুর্বল হয়।

স্পার্ম কাউন্টও কমে যায় পেটের অতিরিক্ত চর্বির কারণে। কমতে কমতে এতই কমতে থাকে যে সন্তান জন্মদানে বাধাগ্রস্ত হয়। আর এসব পুরুষদের নানা শারীরিক কসরত ও নিয়মের মধ্যে রেখে ওবেসিটি তাড়ানোর পর দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। তবে সে সময় সমস্যা অনেক কমে আসে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password