ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত ১৭ গ্রাম

ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত ১৭ গ্রাম

আজও উপকূল দিয়ে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে কুয়াকাটা-কলাপাড়ায় টানা মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তাল রয়েছে কুয়াকটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। এদিকে, সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ থাকতে বলা হলেও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে নেমেছে।

আলীপুর মৎস্য বন্দরের বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মনি ফিস’র মালিক আঃ জলিল ঘরামী জানান, আবহাওয়ার তিন নম্বর সতর্ক সংকেত থাকলেও মহিপুর-আলীপুরের অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার গতরাতে সাগরে গিয়েছে। তবে সাগরে প্রচন্ড ঢেউ থাকায় তারা জাল ফেলতে না পেরে সাগরে নোঙ্গর করে আছে বলে মোবাইল ফোনে আমাদের জানিয়েছেন। এছাড়া অব্যাহত বৃষ্টির ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন।

পূর্নিমার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা গত তিন/চারদিন ধরে একইভাবে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি বেড়েছে। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্রতিদিন দু’দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে কলাপাড়ার চম্পাপুর ও লালুয়া ইউনিয়নের ১৭ গ্রাম। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও আমন ক্ষেত।

লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্রতিদিন দু’দফায় আমার ইউনিয়নে শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। কবে বেড়িবাঁধ মেরামত হচ্ছে এটি এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, আপাতত মেরামত না করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। নভেম্বরের দিকে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারবেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password