পেট তো আর লকডাউন নয়

পেট তো আর লকডাউন নয়
MostPlay

অদৃশ্য করোনায় ভীষণরকম দৃশ্যমান সাধারণ মানুষের কষ্ট। দেশজুড়ে লকডাউন চললেও পেট তো লকডাউন নয়। তাইতো কিছু খাওয়ার আশায়, পাওয়ার আশায় কাঠফাটা রোদ থেকে নীরব অন্ধকার পর্যন্ত পিচঢালা রাজপথে অপেক্ষা। সানেমের জরিপ বলছে, দেশে প্রতি ৪ জন দরিদ্র মানুষের ৩ জনই পরিণত হয়েছে অতিদরিদ্রে।

দিনের আলো নিভে গেছে, শহর জুড়ে ছেয়ে আছে রাতের অন্ধকার, তবে তারও চেয়ে বেশি নিকষ কালো অন্ধকার হয়তো ছেয়ে আছে এমন কতশত বুকের গভীরে। ক্ষুধার্ত মনগুলো তাই ভুলে গেছে ঘরে ফেরার গল্প। চলছে লকডাউন, কর্মঠ হাত দুটোও যে বসে আছে বেকার। রেহানার নির্বিকার চাহনীতে তাই, উপায় খুঁজে ফিরবার নিরুপায় প্রচেষ্টা।

একইরকম গল্প দিনমজুর মনিরুদ্দিনেরও। সারাদিনের অভুক্ত পেটে ইফতার মিলেছে তার রাত নয়টায়। লকডাউনে উপায় নেই ঘরে ফিরবারও, ফুটপাতের কংক্রীটই আজ তাই নিদ্রার আশ্রয় তার। করোনার এমন নিদারুণ কষাঘাতে, জীবনটা চলছে তাই এমন ঘষে মেঝেই। যে পথে পথিক নেই, সেই পথেও অদৃশ্য কোনো চাওয়ায়, কিছু একটা পাবার আশায় বুক বেঁধে বসে আছে রেবেকা আর কুলসুমও।

সম্প্রতি সানেমের জরিপ বলছে, দেশের ৮ বিভাগের মধ্যে ঢাকাতেই দারিদ্র বাড়ছে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে। তবে দারিদ্রের চেয়েও বেশি দ্রুতগতিতে বাড়ছে অতিদরিদ্রের সংখ্যা। প্রতি ১০০ জনে ৬ জন থেকে তা এখন ২৯ জনে। অর্থাৎ, প্রতি ৪ জন দরিদ্র মানুষের ৩ জনই এখন অতিদরিদ্র।

করোনার সংক্রমণ কমাতে যে কড়া লকডাউনের ঘোষণা, সেই চিত্রের বিপরীতে যদি দৃষ্টির বাইরে থেকে যায় নিম্নবিত্ত কিংবা অতিনিম্নবিত্তের রোজগেরে গল্প। তবে মুভিংপাসের এমন লকডাউন আদতে ডাউনই করবে পরিস্থিতি। সাধারণের অভিমত তাই সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতেই কি করছেন নীতি-নির্ধারকরা ?

সূত্রঃ চ্যানেল ২৪

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password