ফেনীর সোনাগাজীতে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৭) শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
গত ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- নবাবপুর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাসেল (২৩), ইকবাল হোসেন (২৪) ও জাহিদুল ইসলাম (২১)।
ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শ্লীলতাহানির শিকার স্কুলছাত্রী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে ইকবাল হোসেন নামে এক বখাটে যুবক তার দুই সহযোগী রাসেল ও জাহিদকে সঙ্গে নিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ইকবাল ছাত্রীটির স্কুল ব্যাগ ও হাত ধরে টানাটানি করে। বিষয়টি ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে জানায়। তারাও বিষয়টি সর্ম্পকে বখাটে যুবকের বাবা ও মাকে অবহিত করে প্রতিকার চেয়েছেন। এতে সে আরও ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীর মাকে মারধর করে। এমনকি সে ছাত্রীটিকে বাড়ি ও বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় সড়ক থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করারও হুমকি দেয়।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রী তাদের ঘরে শুয়ে ছিলেন। এসময় হঠাৎ করে অন্য কোথাও থেকে ইকবাল হোসেন তাঁর দুই সহযোগী রাসেল ও জাহিদকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীকে কথা আছে বলে ডাক দেয়। বখাটের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় ঘরে ঢুকে ইকবাল মায়ের সামনে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে তার হাত ধরে টেনে-হেঁচড়ে শ্লীলতাহানি করে।
এসময় বাধা দিলে বখাটেরা ওই ছাত্রীর মাকেও লাঞ্ছিত করে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ছাত্রীর মা বলেন, বখাটে ইকবাল ও তার সহযোগীদের যন্ত্রণায় তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তার কুপ্রস্তাবের কারণে মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ এ ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত বখাটেরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন